মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন
রবিন চৌধুরীর রাসেল- রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
রংপুরে পৈত্রিক জমি ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্যরা। শনিবার (২রা মার্চ) সকাল ১১ টার সময় রঙ্গপুর সাহিত্য পরিষৎ হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগি পরিবারের পক্ষে আনিছুর রহমান বলেন, আমার পিতা ইব্রাহীম ও ফুফু এবাদন নেছা মিলে ২২০৮ দাগে ইদ্রিস মিয়ার কাছে প্রথমে ১৬ শতক জমি বিক্রি করে। ইদ্রিস মিয়া পরবর্তিতে ওই ১৬ শতক জমি আব্দুল লতিফ মিয়ার কাছে বিক্রি করেন কিন্তু আব্দুল লতিফ মিয়া দলিল মুলে মোট ৫৪ শতকের জমির পরিবর্তে ৭০ শতক জমি ১৯৯২ সালে তার নিজ নামে রেকর্ড করান। কিন্তু সে প্রকৃত দলিলমুলে ৫৪ শতক জমির মালিক। বাকী জমি ফিরত চাইলে কিংবা জমির প্রকৃত মালিককে বুঝে না দিয়ে উল্টো একের পর এক ইব্রাহীম ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে আদাালতে মিথ্যা ৭ ধারা মামলা দায়ের করে পুলিশ দিয়ে হয়রানী করে।
পরে আদালতে আব্দুল লতিফ মিয়া আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়। সেই মামলা খারিজের পর ওই জমির উপর ১৪৪ ধারা জারি করে এবং ১৪৫ ধারায় আবারো আমাদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে আব্দুল লতিফ মিয়া। শুধু এখানেই ক্ষ্যান্ত হননি আব্দুল লতিফ মিয়া। তিনি তার মেয়ে মোছাঃ লায়তারুল জান্নাত সাফা কে দিয়ে এবাদন নেছা ও ইব্রাহীম মিয়ার পরিবারের ৬ সদস্যের নামে থানায় মিথ্যা স্বর্ণ চুরির মামলা দায়ের করে।
অন্যদিকে ভুক্তভোগি পরিবারটি পৈত্রিক জমি ফিরিয়ে পেতে তৎকালীন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মালেক নিয়াজ আরজুর কাছে আবেদন করলে সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে জমি বুঝে দেয়ার নোটিশ করলেও আব্দুল লতিফ মিয়া সাড়া না দিয়ে উল্টো আবারো ইব্রাহীম ও এবাদন নেছাসহ পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তিতে বর্তমান কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম তোতা বিষয়টি অবহিত হয়ে সীমানা নির্ধারনে সিটি কর্পোরেশনের কাছে আবেদন করেন। সেই আবেদনে প্রেক্ষিতে টাকা জমা দেয়া হয়।
সেই সাথে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি শাখা থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে বেলা ১১ টায় উপস্থিত থাকার জন্য বলা হলেও আব্দুল লতিফ মিয়া উপস্থিত হননি। এভাবে একের পর এক হয়রানী করার জন্য মিথ্যা মামলা দায়ের এবং হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে আব্দুল লতিফ মিয়া। প্রকৃত পক্ষে আব্দুল লতিফ মিয়া এলাকার মধ্যে জমি দখলকারী এবং মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাবু মিয়া, রমজান আলী, লাবু মিয়া ও ইব্রাহীমসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।